অর্থ পাচারে কয়েক’শ ব‍্যক্তি চিহ্নিত: গভর্নর

অর্থ পাচারে কয়েক’শ ব‍্যক্তি চিহ্নিত: গভর্নর

আউয়াল চৌধুরী

Published : 07:49, 27 April 2025

বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ''কয়েকশ ব্যক্তি চিহ্নিত হয়েছে যারা অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত। ইতোমধ্যে আমরা টাস্কফোর্স গঠন করেছি। তাদের ব্যাপারে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনগত ব্যবস্থার জন্য আন্তর্জাতিক ল ফার্মকে হায়ার করেছি।'

'যুক্তরাজ্যে এরই মধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।'' বলেও জানান তিনি।

শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল আয়োজিত প্রবাসিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব তথ‍্য জানান।

এ সময় আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়ার বিষয়ে বলেন, ''আইএমএফ এর সাথে মতানৈক্য কম আছে। তবে আইএমএফের ঋণ ছাড়াও আমরা চলতে পারি।'

'আমাদের আইএমএফ-এর টাকার দরকার নেই, তবে টেকনিক্যাল সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ২৬ বিলিয়ন ডলার।'' বলেও জানান তিনি।

ব্যাংক খাতে রাজনৈতিক প্রভাব ঠেকাতে কঠোর অবস্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এখন থেকে আর কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হবে না।রাজনৈতিকভাবে অনুমোদিত ব্যাংকগুলোর কারণেই ব্যাংক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'দেশের রুগ্ন ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে মূলধন ও পরিচালনা কাঠামো শক্তিশালী করা হবে এবং একীভূত করে নতুন কাঠামোতে আনা হবে।'

গভর্নর ড. মনসুর এর মতে, 'বিশ্বের আর কোথাও একসঙ্গে সাত-আটটি ব্যাংক মার্জ করার নজির খুব কম আছে। আমরা এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আইএমএফের পরামর্শ নিচ্ছি। কারণ এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং আমরা চাই ব্যাংকগুলোকে সুষ্ঠুভাবে একীভূত করে একটি শক্তিশালী কাঠামো গড়ে তুলতে।'

তিনি বলেন, 'ব্যাংক খাত এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি স্বাধীনভাবে চলছে। রাজনৈতিক চাপ নেই। হরিলুটের সংস্কৃতি বন্ধ হয়েছে। ব্যাংকের মালিকানা যেন কোনো ব্যক্তি বা পরিবার এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, সে লক্ষ্যে আইনি সংস্কার প্রক্রিয়াও চলছে।'

কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। পরে গভর্নর সভায় উপস্থিত প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

​​​

Share:
Advertisement